পাইকগাছায় কলেজ ছাত্র আমিনুর হত্যাকাণ্ডে মামলা দায়ের, আদালতে ঘাতকের স্বীকারোক্তি পাইকগাছা প্রতিনিধি|
- Daily News Paikgacha
- Nov 10, 2021
- 2 min read
খুলনার পাইকগাছায় মুক্তিপণের দাবিতে কলেজ ছাত্র আমিনুর রহমান (২০) কে অপহরণের পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) নিহতের পিতা সুরমান গাজী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। হত্যাকান্ডের গত দু’দিনেও কপোতাক্ষ নদে তল্লাশী চালিয়ে তার লাশ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। কিছু ক্ষণ আগে লাশ পাওয়া গেছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে হত্যাকারী ফয়সাল। অন্যদিকে, খুনী ফয়সালের ফাঁসির দাবিতে পরিবারের পাশাপাশি এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। সূত্রে জানা গেছে, আটক হত্যাকারী ফয়সালের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাকে নিয়ে লাশ উদ্ধারে
সোমবারের ন্যায় আজ মঙ্গলবারও পুলিশ ঘটনাস্থল কপোতাক্ষের উপজেলার আগড়ঘাটা ফুলতলা এলাকায় অভিযান অব্যাহত রাখলেও আজ লাশ উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। তবে সোমবার ঘটনাস্থলে রক্তের দাগ দেখতে পায় পুলিশ। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, আজ নিহতের পিতা বাদী হয়ে ঘাতক ফয়সালকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। ঘাতক নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে ও কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আমিনুর রহমান (২০) কে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে ফয়সাল (২২)। এরপর তাকে অজ্ঞাত স্থানে রেখে আমিনুরের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে ঐদিন রাত ১০ টার দিকে তার পিতা ছুরমান গাজীর কাছে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। এসময় মুক্তিপণের টাকা পাইকগাছা ব্রীজের নিচে রাখতে বলা হয়। এরপর অপহৃত আমিনুরের পিতা ছুরমান গাজী তার কথামত দাবির কিছু টাকা নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দূর থেকে লোক দিয়ে নিরীক্ষণ করেন। পরে ফয়সালকে টাকা নিয়ে ফেরার সময় আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, ফয়সালের মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে তাকে কোমল পানীয়ের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করে দাসহ তার লাশ কপোতাক্ষ নদীতে ফেলে দেয় বলে জানায়। এরপর সোমবার দুপুরের পর তাকে নিয়ে স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তের দাগ পাওয়া গেলেও কপোতাক্ষ ব্যাপক তল্লাশী চালিয়েও তার লাশের সন্ধান মিলেছে।। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আটক ফয়সাল জানায়, তার প্রেমিকার মোটরসাইকেল কেনার আব্দার রক্ষা করতে সে আমিনুরকে অপহরণ করে তার পিতার কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। তবে মুক্তিপণ নেওয়ার আগেই তাকে হত্যার ঘটনায় বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
Comments